বিসিএস ক্যাডার হওয়ার সহজ উপায়ঃ-

বি,সি,এস প্রিপারেশন

বিসিএস ক্যাডার হওয়ার সহজ উপায়ঃ-

# ধাপ-১: লক্ষ্য নির্ধারণ (Goal setting)
করো: প্রথমে ভালো করে জানো, কেনো
তুমি বিসিএস দিবে, কোন ক্যাডার
পেলে চাকরি করবে, তোমার আর কী কী
বিকল্প আছে ইত্যাদি। ভেবে লক্ষ্য
স্থির করো।
#ধাপ-২: জেনে নাও বিসিএস পরীক্ষাটা
কী: বিসিএস হলো বাংলাদেশ সিভিল
সার্ভিস এর সংক্ষিপ্ত রূপ। বিসিএস
পরীক্ষা নেয় বাংলাদেশ পাবলিক
সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি)। এ
পরীক্ষায় যারা টিকে, তাদেরকে
বিপিএসসির সুপারিশক্রমে মোট ২৮ টি
ক্যাডারে ১ম শ্রেণির গেজেটেড
কর্মকর্তা নিয়োগ দেন গণপ্রজাতন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য
রাষ্ট্রপতি মহোদয়।
#ধাপ-৩: ক্যাডারগুলো সম্পর্কে জানো ও
পছন্দক্রম ঠিক করো:
General cadres: Administration,
Foreign
Affairs, Taxation, Police, Audit &
Accounts,
Customs & Excise, Cooperatives,
Economic,
Food, Information, Family Planning,
Postal,
Railway Transportation &
Commercial, Ansar
& Trade.
Technical cadres: Roads & Highways,
Public
Works, Telecommunications, Public
Health
Engineering, Forest, Health, Railway
Engineering, Livestock, Fisheries,
Statistics,
General Education, Technical
Education,
Information, Agriculture & Food.
[বি.দ্র:
আমার ক্ষেত্রে ছিলো: Foreign Affairs>
Administration> Police> Customs &
Excise>
Economic> Audit & Accounts>
Taxation>
Information> Railway Transportation
&
Commercial> Food> Family Planning>
Postal> Cooperative> Ansar> Trade.
আমার
টেকনিক্যাল দেয়ার সুযোগ ছিলো না]
#ধাপ-৪: ভাবতে থাকো তুমি তোমার
পছন্দের চাকরি পেয়ে গেছো: এটা হলো
অবচেতন মনকে এক ধরনের নির্দেশনা।
এটা (আল্লাহ পাকের ইচ্ছায়) তোমার
লক্ষ্যে পৌঁছতে সহায়তা করে। সেভাবে
নিজেকে প্রস্তুত করতে চেষ্টা করো।
[আমার মূল পছন্দ ছিলো সচিব অথবা
রাষ্ট্রদূত হওয়া। আলহামদুলিল্লাহ এখনো
দুটো সুযোগই আছে। আমি এখনো সেভাবে
ভাবি এবং নিজেকে প্রস্তুত করার
চেষ্টা করি। ইনশাল্লাহ হবোই। আমি
তোমাদের দোয়া প্রার্থী]
#ধাপ-৫: কয়েকটা বিষয় মনে রাখো
-বিসিএস পরীক্ষায় কোনো দুর্নীতি হয়
না
-তোমার Political view চাকরির ক্ষেত্রে
কোনো প্রভাব ফেলে না
-ঠিকমতো পড়লে তোমার চাকরি হবেই
(ইনশাল্লাহ)
-তোমার যদি কোটা থাকে, বিসিএস না
হওয়াটা তোমার এক ধরনের অন্যায়
[বি.দ্র: আমার মুক্তিযোদ্ধা কোটা
ছিলো না]
-তোমার যদি কোটা না থাকে, তোমার
অন্ততঃ জেলা কোটা আছে
-কোটা ছাড়াই বিসিএস এ প্রথম পর্যন্ত
হওয়া যায়, একটা চাকরি তো পাওয়াই
যায়
-প্রিলি, রিটেন বা ভাইভা-তে নম্বর
পা্ওয়ার ক্ষেত্রে কোটার কোনো
ভূমিকা নেই
-প্রিলিতে ৭০% পেলে চান্স পাবেই
(ইনশাল্লাহ); রিটেনে ৫০% এ পাশ, ৬০%
পেয়ে তুমি প্রথম পর্যন্ত হতে পারো,
ভাইভা তে ৪০% এ পাশ।
-তুমি অনেক বার পরীক্ষা দিতে পারবে।
কিন্তু এক বারেই যদি পাওয়া যায়
এতোবারের আশায় বসে থাকবে কেনো,
প্রথমেই খুব ভালো করে পরীক্ষা দা্ও
-“বিসিএস মেধাবীদের জন্য নয়, এটি
ধৈর্যশীল মেধাবীদের জন্য।” [বি.দ্র:
এটি পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড.
সা’দত হোসেন স্যার এর একটি উক্তি]
#ধাপ-৬: পরীক্ষা সম্পর্কে জানো:
বিসিএস এ থাকে
Preliminary(200marks)> written(900)>
viva
(200)> medical test & Police
verification>
gazette publication> Appointment
Preliminary শুধু পাশ করতে হয়। এই নম্বর
পরে আর কোনো কাজে লাগে না। পাশ
নম্বর নির্ধারণ হয় কতো জন নিবে তার
উপর ভিত্তি করে। written+viva নিয়ে
ফাইনাল রেজাল্ট তৈরি হয়।
#ধাপ-৭: শুধু Preliminary এর জন্য প্রস্তুতি
না্ও, বাকি সব ভুলে যা্ও: প্রিলিতে
থাকে ২০০ নম্বরের MCQ; বাংলা,
ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান,
বিজ্ঞান, মানসিক দক্ষতা, ভূগোল। একটা
ভুলের জন্য ০.৫ নম্বর কাটা যাবে।
প্রস্তুতি নাও এভাবে:
-টাকা নিয়ে সোজা নীলক্ষেত চলে যাও
>প্রিলির যেকোনো সেট বই কিনো।
-এমনিতেই বিষয়ভিত্তিক যেসব বই
বাসায় আছে, সেগুলোও রেখে দাও,
কাজে লাগবে
>আগের বছরগুলোর প্রশ্নগুলো পড়ো
>দেখো preparation ছাড়া কতো পা্ও,
70%
পেতে আর কতো লাগে। ৭০% পেতে বাকি
যতো থাকে, তার জন্যই তুমি preparation
নিবে
>তোমার strength ও weakness বের করো
>strength গুলো ভালো করে practice
করো,
weakness গুলোকে শিখে strength এ
পরিণত করো
>Model question এর একটা বই কিনে
practice করো । এতে ভুল উত্তর দেয়ার
অভ্যাস দূর হবে (ইনশাআল্লাহ)।
>Preliminary পরীক্ষার form fill up করো
>পরীক্ষা দা্ও
>পাশ করো (দোয়া করি)।
#ধাপ-৮: Written এর প্রস্তুতি না্ও:
-আবার নীলক্ষেত যা্ও
>রিটেনের যেকোনো সেট বই কিনো।
>খেয়াল করো অনেকগুলো টপিকস আছে
যেগুলোতে প্রায় full marks পা্ওয়া যায়;
যেমন- গণিত, ব্যাকরণ। এগুলোর উপর জোর
দা্ও।
>তোমার যে বিষয়ে দখল বেশি তার উপর
জোর দা্ও
> বাকিগুলোও ভালো করে পড়ো
>ভালো করে পরীক্ষা দাও: সুন্দর করে
অনেক বেশি বেশি করে লিখবে, যতো
পারো চিত্র, তথ্য, ফ্লো-চার্ট, কোটেশন
ইত্যাদি দিবে
>৫০% পাশ মার্কস, কিন্তু মনে রেখো,
রিটেনে শুধু পাশ করলে চলবে না, ভালো
নম্বর পেতে হয়। সুতরাং অনেক নম্বর পা্ও
(দোয়া করি)।
#ধাপ-৯: Viva-র প্রস্তুতি
-আবার নীলক্ষেত যা্ও
>ভাইভার বই কিনো।
>ভাইভা সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা
না্ও
>প্রতিদিন এক ঘন্টা করে বিবিসি
শোনো
-প্রতিদিন জোরে জোরে english news
paper reading পড়ো
>তোমার পছন্দের ক্যাডারগুলো সম্পর্কে
জানো
তোমার নিজের সম্পর্কে জানো:
তোমার নাম, বাবা, মা, নিজ জেলা,
নিজ বিষয়, ভার্সিটি, ডিপার্টমেন্টের
প্রধান, শখ ইত্যাদি সম্পর্কে জানো
>মনে রাখো :
-ভাইভাতে তুমি পারো বা না পারো
তার থেকে তুমি কীভাবে জবাব দাও তা
বেশি গুরুত্বপূর্ণ
-মানুষকে এক দেখাতেই বলা যায়, সে
কেমন
-যারা ভাইভা নিচ্ছে, তুমি হয়তো শেষ
জীবনে তাদের মতো কিছু হতে চা্ও;
সুতরাং তাদের মন থেকে সম্মান করো
-যারা ভাইভা নিচ্ছে, তারা চায় তোমার
সাথে গল্প করতে, বর্তমান জেনারেশনটা
কেমন, তা বুঝতে
-হাশিখুশি লোকদের সবাই পছন্দ করে
-তোমাকে বকা দেয়ার উদ্দেশ্য, তুমি
কীভাবে রিএক্ট করো, তা দেখা; সুতরাং
স্বাভাবিকভাবে হাসলেই, তার সমাধান
হয়ে যাবে
>ভদ্র পোশাক পরে ভাইভা দিতে যেও
>ভাইভাটা সুন্দর করে দা্ও।
>ভাইভা ভালো করো (দোয়া করি)।
#ধাপ-১০: Medical test & Police
verification এ
সাধারণত সবারই ভালো হয়। তাই এখন
তুমি ফ্রি। ইচ্ছামতো আনন্দ করো, ঘুরে
বেড়া্ও। পাশাপাশি বেশ কিছু টাকা
হাতে রাখো; নতুন কোনো জায়গায়
পোস্টিং হলে, সেক্ষেত্রে বেশ কিছু
কেনাকাটা (পোশাক, লাগেজ, খাট,
তোষক ইত্যাদি) লাগতেই পারে।
#ধাপ-১১: Gazette প্রকাশ মানে তোমার,
“চাকরিটা এখন হয়ে গেছে, বেলা
শুনছো....” গা্ওয়ার সময় হয়ে গেছে। তবে
আলহামদুলিল্লাহ বলতে ভুলো না।
#ধাপ-১২: চাকরিতে যোগদান করো আর
হয়ে যাও একজন বিসিএস ক্যাডার
কর্মকর্তা (দোয়া করি,ফি আমানিল্লাহ)
BCS & BANK Job Preparation
বিসিএস নিয়ে কিছু প্রশ্নোত্তর পর্ব ----
( যারা একদম নতুন তাদের জন্য )
By------------- aryan ahmed
assistant commissioner of taxes
.
ইনবক্সে নানান সময় অনেকেই প্রয়োজনীয় ও
অপ্রয়োজনীয় অনেক প্রশ্ন করেন বিসিএস
নিয়ে, এখানে সেগুলোর কিছু উত্তর দেয়ার চেষ্টা
করলাম, টুকটাক ভুলও থাকতে পারে, থাকলে
যাদের জানা আছে তারা শুধরে দেয়ার চেষ্টা
করবেন ।
.
১- অনার্স পাশ করে কি বিসিএস এ আবেদন করা
যায় ? নাকি মাস্টার্স লাগে ?
উ ঃ অনার্স ফাইনালের লিখিত পরীক্ষা হয়ে
গেলে অনার্স ফাইনালে appeared দেখিয়েও
বিসিএস পরীক্ষার জন্য আবেদন করা যায় ।
২- কত নাম্বারের পরীক্ষা ? কি কি বিষয় থাকে ?
উ ঃ প্রথমে ২০০ নাম্বারের প্রিলিমিনারি
( MCQ ) পরীক্ষা হয়, এর মধ্য থেকে
কিছুসংখ্যক পরীক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষার
জন্য নির্বাচন করা হয় । ঠিক কতজন নির্বাচন
করা হবে তার কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই, তবে
প্রিলিমিনারি পরীক্ষাতে মোটামুটি ৫৫-৬০%
নাম্বার পেলে ধরে নেয়া যায় প্রিলিমিনারিতে
সফল হবার চান্স বেশি । প্রিলিমিনারি
পরীক্ষার বিষয়গুলো বাংলা, ইংরেজি, গনিত,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সাধারণ জ্ঞান, মানসিক
দক্ষতা, ভূগোল ও পরিবেশ, নৈতিকতা ইত্যাদি ।
প্রশ্ন সাধারণত কেমন হয় এজন্য যারা নতুন
পরীক্ষা দিচ্ছেন তারা বিগত বছরের
প্রিলিমিনারির প্রশ্নগুলো দেখুন , কিছুটা ধারণা
হবে । এরপর , প্রিলিমিনারি পরীক্ষা থেকে
বাছাইকৃত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৯০০ নাম্বারের
লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় - বাংলা ২০০
নাম্বার, ইংরেজি - ২০০ নাম্বার, সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলী - ২০০ নাম্বার, সাধারণ
জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী -১০০ নাম্বার,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি -১০০ নাম্বার ( বিজ্ঞান
৫০+ প্রযুক্তি ৫০ ), গনিত ও মানসিক দক্ষতা
১০০ ( গনিত ৫০ + মানসিক দক্ষতার ৫০ টি
MCQ ) , লিখিত পরীক্ষায় পাশ নাম্বার ৯০০
এর মাঝে সম্মিলিতভাবে ৫০% অর্থাৎ ৪৫০,
প্রতিটি বিষয়ে আলাদাভাবে পাশ করতে হয়
এখানে বিষয়টি এমন নয়, তবে কোন বিষয়ে ৩০
এর কম নাম্বার পেলে সেটি আর মোট নাম্বারের
সাথে যোগ হয়না । লিখিত পরীক্ষায়
উত্তীর্ণদের থেকে ভাইভার জন্য নির্বাচন করা
হয় । ভাইভা ২০০ নাম্বারের পরীক্ষা , পাশ
মার্ক ৫০% । বিসিএস পরীক্ষার রেজাল্ট লিখিত
ও ভাইভা পরীক্ষার নাম্বার মিলিয়ে
সম্মিলিতভাবে দেয়া হয়, লিখিত পরীক্ষায়
নাম্বার ৯০০ আর ভাইভাতে নাম্বার ২০০ ,
তারমানে লিখিত পরীক্ষায় যে যত ভালো
নাম্বার পাবে তার পরীক্ষায় সফল হবার
সম্ভাবনাও ততো বেড়ে যাবে । বিসিএস
পরীক্ষার মূল পরীক্ষাটাই হচ্ছে লিখিত পরীক্ষা

৩ - অনার্স পাশ করা যেকেউ কি যেকোনো
জেনারেল ক্যাডারের জন্য আবেদন করতে
পারবে ?
উঃ পারবে , ফরম পূরণ করার সময় আপনি চাইলে
চয়েস সবগুলোই দিতে পারবেন । যার যে টাইপ
জব ভালো লাগে বা যে ক্যাডার পছন্দ সেভাবে
সিরিয়ালি দিতে পারেন, কোন বাধা নেই ।
আপনি শুধু জেনারেল, শুধু টেকনিক্যাল অথবা
both cadre চয়েস দিতে পারবেন যেটা আপনার
ইচ্ছা । কয়টা চয়েস দেয়া যাবে এসব নিয়েও
কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই , আপনি চাইলে
সবগুলো চয়েসই দিতে পারবেন ।
৪ - জেনারেল, টেকনিক্যাল নাকি both cadre
কিভাবে ফরম পূরণ করলে সুবিধা ?
উঃ আপনি যেভাবেই ফরম পূরণ করুন না কেন
শুধুমাত্র ভালো পরীক্ষা দিতে পারলেই আপনার
সফল হবার সম্ভাবনা বাড়বে, ফরম পূরণ করা
নিয়ে বিশেষ কোন সুবিধা আপনি পাবেন না ,
তবে এটা তো যেকেউ বুঝবে যে both cadre এ
ফরম পূরণ করলে আপনার অপশন বেশি থাকছে
তাইনা ? তবে both cadre এ ফরম পূরণ
করলে এক নাম্বার চয়েস টেকনিক্যাল ক্যাডার না
দিলেই ভালো । অন্তত ৫-৬ টি জেনারেল
ক্যাডারের চয়েস দিয়ে পরে আপনি টেকনিক্যাল
ক্যাডার চয়েস দিতে পারেন ।
৫ - জেনারেল ক্যাডার কোনগুলো এবং
টেকনিক্যাল ক্যাডার কোনগুলো ?
উঃ আপনি যেকোনো বিসিএস এর সার্কুলার
একটু মনোযোগ দিয়ে পুরোটা পড়লে আপনার
অনেক প্রশ্নেরই উত্তর পাবেন । জেনারেল
ক্যাডারের মাঝে রয়েছে বিসিএস প্রশাসন,
পুলিশ, ফরেন এফেয়ারস, কাস্টমস, ট্যাক্স,
অডিট, ইকনোমিক, ফুড, সমবায়, আনসার,
ডাক, রেলওয়ে ইত্যাদি । আর টেকনিক্যাল
ক্যাডারে পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি আপনার
graduation এর বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট জব
পাবেন যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারী
কলেজের বিভিন্ন বিষয়ের প্রভাষক, কৃষি
অফিসার, মৎস্য অফিসার ইত্যাদি ।
৬ - বিসিএস এর সবচেয়ে ভালো ক্যাডার
কোনটা ?
উঃ অনেকেই এই প্রশ্ন করেন , উত্তর হল
একেক ক্যাডার একেক রকম । এক চাকুরী সবার
ভালো লাগবেনা এটাই স্বাভাবিক , যার যেই
ক্যাডার পছন্দ সেটাই তার জন্য বেস্ট । যেমন
কারো পুলিশ পছন্দ বেশি , কারো প্রশাসন
পছন্দ, কারো ফরেন, কারো কাস্টমস, কারো
ট্যাক্স, কারো অডিট ইত্যাদি । যদি প্রশ্ন
করা হয় ভার্সিটির এক নাম্বার সাবজেক্ট
কোনটা উত্তর কি হবে ? ভার্সিটিতে কোন
স্টুডেন্ট যে বিষয়ে স্টাডি করে খুব ভালো কিছু
করতে পারবে সেটাই তার জন্য ১ নাম্বার
সাবজেক্ট তাইনা ?
৭ - বিসিএস পরীক্ষার জন্য দৈনিক কয় ঘণ্টা
করে স্টাডি করা উচিত ?
উঃ এসব silly প্রশ্ন করার কি কোন মানে
হয় ? একেকজনের পড়ার স্টাইল একেকরকম ।
একেক বিষয়ে একেকজনের একেকরকম সময়
লাগতেই পারে, এটাই স্বাভাবিক । পড়া হওয়া
দিয়ে কথা তাইনা ? সেটা আপনি ৩ মাসে
পড়লেন নাকি ৬ মাসে সেটা ফ্যাক্ট না । এটা
ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে । ঘণ্টা হিসেবে কি
কখনো পড়া হিসেব করা হয় ????
৮ - প্রিলির জন্য কি কি বই পড়তে হয় ?
উঃ এটা নিয়ে এর আগেও লিখেছি । বই এর কোন
শেষ নেই । প্রথমে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো
নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে ধারণা নিন প্রশ্ন কেমন
হয়, পরে প্রতিটি বিষয়ের যেকোনো একটি বই
মোটামুটিভাবে পড়ে ফেলার চেষ্টা করুন ।
বাজারে যেসব গাইড আছে সেগুলোও ভালোই ।
আগে প্রতিটি বিষয়ের জন্য যেকোনো একটি
করে বই পড়ে ফেলুন, পরে সময় পেলে নিজের
জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করুন , ব্যস ।
যেই বই থেকেই পড়ুন ভালমতো পড়ুন, একটি
বিষয়ের ৫-১০ টি বই আধো আধো না দেখে
একটি বই ভালমতো দেখুন সেটা কাজে আসবে ।
৯ - নন- ক্যাডার কি ?
উঃ যারা প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাশ করার পর
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভা পরীক্ষা
দিয়ে ভাইভাতেও পাশ করে কিন্তু বিসিএস
ক্যাডার হতে পারে না ( আসন সংখ্যা সীমিত
থাকার কারনে ) । পরে নন- ক্যাডারদের মধ্যে
যারা সিরিয়ালে সামনের দিকে থাকে তাদের
বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এর চাকুরীর জন্য সুপারিশ
করা হয় ।
১০ - both cadre এ পরীক্ষা দিলে কি বেশি
পরীক্ষা দেয়া লাগে ?
উঃ হ্যাঁ, তখন মোট ১১০০ নাম্বারের পরীক্ষা
দিতে হয়, অতিরিক্ত আপনার graduation এর
সাবজেক্টের ১ম পত্র আর ২য় পত্র এই ২ টি
২০০ নাম্বারের পরীক্ষা আপনাকে অতিরিক্ত
দিতে হবে , প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা
সিলেবাস থাকে ।
১১ - both cadre এ কি সবাই পরীক্ষা দিতে
পারবে ?
উঃ তার graduation এর বিষয়ের সাথে
related টেকনিক্যাল ক্যাডার থাকলে সে
পরীক্ষা দিতে পারবে । এই হিসেব অনুযায়ী সবাই
পারেনা ।
১২ - লিখিত পরীক্ষায় আর ভাইভা পরীক্ষায় কত
নাম্বার পেলে ক্যাডার হওয়া যায় ?
উঃ এটার কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই, একেকবার
একেক টাইপ হয়ে থাকে । তবে আমার যেটা মনে
হয় লিখিত পরীক্ষায় ৫৫০ প্লাস নাম্বার একটি
ভালো নাম্বার ।
১৩ - ডাক্তাররা নাকি জেনারেল বিসিএস দিতে
পারেনা ? বা দিলেও নাকি ভাইভা তে সমস্যা
হয় ?
উঃ ডাক্তাররা জেনারেল বিসিএস দিতে পারে,
ভাইভাতে শুধু উত্তর দিতে হবে কেন একজন
ডাক্তার জেনারেল ক্যাডারে যেতে চায় । ভাইভা
তে খুব বেশি সমস্যা হয় বিষয়টা এমন নয় । এসব
নিয়ে অনেকেই মিসগাইড করে । লিখিত ও
ভাইভা পরীক্ষা যার ভালো হবে তার সফল
হবার সম্ভাবনা বেশি থাকবে ।
১৪ - জাতীয় ভার্সিটি থেকে কি বিসিএস দিতে
পারে? সেখান থেকে কি ক্যাডার হয় ?
উঃ পারবে না কেন ? অবশ্যই পারবে । ক্যাডার
হবেনা কেন, পরীক্ষা যার ভালো হবে তারই
সফল হবার সম্ভাবনা বেশি, কে কোথায় কোন
বিষয়ে পড়েছে এটা ফ্যাক্ট না ।
১৫ - প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে কি ক্যাডার হয় ?
উঃ হবেনা কেন ? একই উত্তর, কে কোথায়
স্টাডি করেছে এটার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কে
কেমন পরীক্ষা দিলো সেটা, পরীক্ষা ভালো
দিলে তো অবশ্যই হবার সম্ভাবনা থাকবে ।
১৬ - ভার্সিটি এর শুরু থেকেই কি চাকুরীর জন্য
পড়বো বা কিভাবে শুরু করবো ?
উঃ ভার্সিটির শুরু থেকে আপনি আপনার
graduation এর সাবজেক্টে ভালো রেজাল্টের
জন্য চেষ্টা করা উচিত । বিসিএস ই একমাত্র
পেশা নয়, আপনি ফাইনাল ইয়ারের দিকে এসে
ধীরে ধীরে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করুন , এতো
আগে থেকে এসব বোরিং বিষয় নিয়ে প্রস্তুতি
নিয়ে নিজের ক্যাম্পাস লাইফের আনন্দ মাটি
করার দরকার নেই ।
.
এই মুহূর্তে আর কিছু মনে পড়ছে না, মনে পড়লে
সামনে আবার লিখবো, ভালো থাকবেন সবাই,
Good luck guys.

Post a Comment

0 Comments